ইসমাঈল আযহার
পাবলিক ভয়েস
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম মহাসচিব ও মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান মধুপুর মাদরাসার প্রিন্সিপাল মধুপুর পীর আল্লামা আব্দুল হামিদের মাথা থেকে একটি গুলি বের করা সম্ভব হয়নি।
আজ সোমবার বিকাল পাঁচটার দিকে পীর আল্লামা আব্দুল হামিদের ছেলে উবাইদুল্লাহ কাসেমী মুঠোফোনে পাবলিক ভয়েসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আল্লামা আব্দুল হামিদ কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক সেন্টাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পূর্বের থেকে আব্বাজানের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে তবে তার মাথা হতে একটি গুলি এখনও বের করা সম্ভব হয়নি। আল্লামা আব্দুল হামিদের মাথায় পাঁচটি গুলি লাগে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উবাইদুল্লাহ কাসেমী আরও জানান, এলাকার ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতারা মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও হেফাজত কর্মীদের তালিকা শনাক্ত করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে হয়রানি করছেন।
গতকাল দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে মধুপুর মাদরাসার দিক থেকে হেফাজতে ইসলামের হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল নিমতলীর চেয়ারম্যান বাড়ী সংলগ্ন ব্রিজের নিকট পৌঁছলে পুলিশ ও সরকার সমর্থন লোকেরা মিছিলটি গতিরোধ করে।
এসময়ে উভয় পক্ষে ধাওয়া পল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পুলিশ মিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ করতে উপর্যুপরি গুলিবর্ষণ করে। এতে আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত জখম হলে ছাত্ররা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন।
গতকাল বিকেলে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর মহাসচিব আল্লামা নূরুল ইসলাম কাকরাইলস্থ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুরকে দেখতে যান এবং তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।
গতকালের হরতালে পুলিশের সঙ্গে রাস্তায় আবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা।