দেশজুড়ে চলছে হেফাজতে ইসলামের হরতাল

প্রকাশিত: ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০২১

ইসমাঈল আহার
পাবলিক ভয়েস

ঢাকা, হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষে হতাহতের জেরে হেফাজতের ইসলামের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শুরু হয়েছে।

আজ সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।

মোহাম্মদপুরের বসিলায় মিছিল বের করে সকে অবস্থান নেয় মাদ্রাসার ছাত্ররা।

এসময় তারা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

এদিকে ঢাকার পূর্বাঞ্চলের প্রবেশপথ সাইনবোর্ডের সানারপাড়ে সড়ক অবরোধ করেছে মাদ্রাসা ছাত্ররা।

সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে গণপরিবহন কম দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়ছে। অল্প সংখ্যক দূরপাল্লার যানবাহনও চলাচল করছে।

হরতালকে ঘিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির সদস্যরা। এপিসি জলকামান নিয়ে বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছে তারা।

এদিকে পুলিশের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে।

এছাড়াও ঢাকা-চিটাগাং মহাসড়কের সানারপাড় এলাকায় হরতালের সমর্থনে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে হেফাজতের নেতাকর্মীরা।

এর আগে, শুক্রবার রাত ৮টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী হরতালের ঘোষণা দেন।

আবদুর রব ইউসুফী বলেন, হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর পক্ষে আমি এই কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

তিনি বলেন, ঢাকার বায়তুল মোকাররমে, চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদী মুসল্লিদের ওপর পুলিশ ও সরকারি দলীয় ক্যাডার বাহিনী হামলা করে অন্তত পাঁচনজনকে শহীদ করেছে। অসংখ্য মুসল্লিকে আহত করেছে এবং গ্রেপ্তার করেছে।

এর প্রতিবাদে এই কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মনির হোসেন কাসেমী ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ আমীনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

মাওলানা মামনুল হক বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই দিনে পুলিশ ও সরকারি দলের সন্ত্রাসী বাহিনী যেভাবে প্রতিবাদী মুসল্লিদের ওপর হামলা করেছে, তাতে স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাসে এটি একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।

মন্তব্য করুন