আমাকে হত্যাচেষ্টা চলছে: সংবাদ সম্মেলনে কাদের মির্জা

প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৩, ২০২১

এম.এস আরমান,নোয়াখালী প্রতিনিধি: আমাকে নিরাপত্তার নামে আমার কর্মীদের দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমার নিরঅপরাধ কর্মী ও বাজারের নিরিহ ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আরো দশটি লাশ পড়ে গেলেও আমি আর কোনো কর্মসূচী দিবোনা। দফায় দফায় একরাম চৌধুরীর বাড়িতে মিটিং হচ্ছে আমাকে হত্যা করার জন্যে। আমি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রইলাম।

শনিবার (১৩মার্চ) সকাল ১০ ঘটিকায় বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভা মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

এসময় তিনি আরো বলেন, গত (৯ মার্চ) মঙ্গলবার আলাউদ্দিন নামের যে ছেলেটি আমার পৌর ভবনের পাশে নিহত হয়েছে বলে প্রচার করাহচ্ছে ঐ ছেলেটি আমার এখানে নিহত হয়নি, যদি এখানে নিহত হতো তাহলে তার ব্লাড পাওয়া যেতো, আমার পৌর ভবনের আশপাশে কেউ ব্লাড দেখেনি এবং দেখাতে পারেনি।

ঐ দিন আমার কর্মিরা ছিলো নিরস্ত্র, আমার রুমে প্রায় ৫শত এবং পুরো পৌরভবনে প্রায় ২ হাজার গুলি নিক্ষেপ করা হয়েছে। আমার কর্মীরা শুধু কিছু ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে, এছাড়া তাদের আর কিছু করার সুযোগ ছিলোনা। এসময় মেয়র কাদের মির্জা আক্ষেপ করে বলেন, আমার প্রায় ১০ জনের মত কর্মী যারা ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছে আজ পর্যন্ত কেউ তাদের দেখতেও যায়নি। আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চুপ করে আছি, উনি যা সিদ্ধান্ত দেয় আমি মাথা পেতে নিবো।

প্রশাসনিক চাপের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কাদের মির্জা বলেন, এখানকার স্থানিয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন উপরের নির্দেশে আমার বিরুদ্ধে কাজ করছে। সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার দুইজন আসামীকে অস্ত্রসহ পৌরসভা থেকে গ্রেপ্তার করে একজনকে উপরের নির্দেশে ছেড়ে দেয় এবং অন্নজনকে নিরস্ত্র হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে চালান করে দেয়।

মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে জাহাঙ্গীর নামের ছেলেটি এখানকার প্রশাসনকে পরিচালনা করে, তার কথায় এখানকার প্রশাসন পরিচালিত হচ্ছে। কাদের অস্ত্রে সাংবাদিক মুজাক্কির ও সিএনজি চালক আলাউদ্দিন নিহত হয়েছে একুরেট তদন্তের জন্য সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা থেকে বিচার বিভাগিয় তদন্তের দাবী জানান আবদুল কাদের মির্জা।

মন্তব্য করুন