বঞ্চিত চার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি

প্রকাশিত: ৬:০৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০২১

আতিকুল ইসলাম: বঞ্চিত চার হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকেরা।

বুধবার ১০ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচির করেছেন বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (মহাজোট) শিক্ষকেরা। বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষকেরা এতে অংশ নেন।

এ বিষয়ে মহাজোটের যুগ্ম আহবায়ক মতিউর রহমান বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি ২০১৩ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ আছে যে, ২৭-০৫-২০১২ সালের পূর্বে আবেদন করা প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় আসবে। এ প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়।

সেই সময় যোগ্যতা থাকায় সত্ত্বেও জাতীয়করণের জন্য তৃতীয় ধাপে ৯৬০টি বিদ্যালয় এর বাইরে আরও চার হাজারের বেশি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তথ্য চাওয়া হলেও তা জাতীয়করণের আওতায় নিয়ে আসা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশে বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে গত ২০১৮ সালে ১৮ দিন এবং ২০১৯ সালে ৫৬ দিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণভাবে অনশন কর্মসূচি পালন করি। ওই সময়ে একজন শিক্ষক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ইতিমধ্যে সারা বাংলাদেশে ১০ জন বেসরকারি শিক্ষক মারা গেছেন। এদের পরিবারের অবস্থা এখন খুবই খারাপ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা খুবই খারপ সময় পার করছি। কোনভাবেই আর টিকে থাকতে পারছি না। এতো কঠিন সময় শিক্ষকদের পার করতে হবে তা কোনদিন ভাবি নি। আমরা তো শিক্ষকতা করছি। শিক্ষার্থীদের পাঠদান করছি। তাহলে কেন আমরা সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবো।

তারা বলেন, আমাদের সবার একটি করে পরিবার রয়েছে। এই পরিবার পরিচালনার দায়িত্ব আমাদের। আমি যদি আয় করতে না পারি তাহলে কীভাবে পরিচালনা করবো পরিবার। আমাদের দোষ কোথায়। আমরা তো সরকারি নিয়মের মধ্যেই আছি।

কর্মসূচিতে আয়োজক সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদুল ইসলাম জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যথাযথভাবে আবেদনকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হবে। সঠিক পরিসংখ্যানের অভাবে দীর্ঘ ৭ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও আমাদের বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণের আওতায় আনা হয়নি।

তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসহৃচি চালিয়ে যাওয়ার জন্য সকলকে আহবান জানান।

মন্তব্য করুন