অঘোষিত এক সফরে তুরস্কে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন লেবাননের মনোনীত প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি।
অর্থনীতি ও করোনাভাইরাসের সংকটে বিপর্যস্ত দেশটিতে যখন একটি নতুন সরকার গঠনের প্রচেষ্টা চলছে, তখন শুক্রবার ঘোষণা ছাড়াই আঙ্কারা সফর করলেন তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা হারিরি।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ইস্তাম্বুলে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে দুই ঘণ্টার ‘একান্ত ব্যক্তিগত’ পর্যায়ের ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং সম্পর্ক ‘গভীর ও শক্তিশালী’ করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর বেশি বিস্তারিত কিছু জানায়নি তুর্কি প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।
অন্যদিকে, সাদ হারিরির কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, লেবাননে যত সম্ভব একটি নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া ও সমর্থন নিয়ে এরদোগান ও প্রধানমন্ত্রী হারির মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
সাদ হারিরি হলেন লেবাননের হত্যা হওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির ছেলে। লেবাননের রাজনৈতিক অচলাবস্থার মধ্যে গত অক্টোবরে তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। এর এক বছর আগে অপ্রত্যাশিত আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি।
আগে থেকেই লেবাননে অর্থনৈতিক সংকট বিরাজ করছে। তার মধ্যে করোনাভাইরাস এবং গত বছরের আগস্টে রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ সেই সংকটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের অধীনে ওই অঞ্চলে তুরস্কের কূটনৈতিক প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। কূটনৈতিক প্রভাবে দেশটি ফ্রান্সের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
এর আগে গত বছরের আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে লেবানন সফর করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। ওই সময় তিনি দেশটিতে রাজনৈতিক সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের প্রথম লেবানন সফরের পর তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান অভিযোগ করেন, লেবাননে ‘উপনিবেশিক’ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে প্যারিস।
তুর্কি প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, দেশটির নেতা লেবাননে ‘ঐক্য ও শান্তি’ প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে সমর্থনের বিষয়ে পুনঃনিশ্চয়তা দেন। যা এক সময় অটোমান সাম্রাজ্যের নীতি ছিল।
আই.এ/