উদ্বাস্তু হতে যাচ্ছেন আরো কিছু ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত: ৪:৫৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২, ২০২১

ফিলিস্তিনের বেশ কিছু নাগরিকের নতুন করে উদ্বাস্তু হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। কারণ দখলদার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পূর্ব জেরুজালেমের সিলওয়ান এলাকায় ঘরবাড়ি ধ্বংসের নতুন নির্দেশ জারি করেছে।

আল আরাবিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলি পৌর কর্তৃপক্ষ ডিসেম্বরে আল-বুস্তান এলাকার বাসিন্দাদের বাড়িঘর ধ্বংসের নির্দেশ জারি করেছে। ফলে সেখানকার বেশ কিছু পরিবার উদ্বাস্তু হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। নির্দেশ কার্যকর হলে খোলা আকাশের নিচে তাঁবুতে বাস করা ছাড়া তাদের কোনো উপায় থাকবে না।

যাদের বাড়িঘর ধ্বংসের নির্দেশ জারি করা হয়েছে, তাদেরই একজন হলেন ফাখরি আবু দিয়াব। ইসরায়েলি নির্দেশ কার্যকর করলে তার ৩০ হাজার ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৮৭ সাল থেকে বাড়ি নির্মাণের জন্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে চার বার আবেদন করেন তিনি। কিন্তু আবেদন গৃহীত না হওয়ায় অনুমতি ছাড়াই ঘরবাড়ি নির্মাণ করেন তিনি।

ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ প্রায় নিয়মিত ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে নির্মিত ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। যদিও ফিলিস্তিনিরা তাদের নিজস্ব ভূমিতে এগুলো নির্মাণ করেছেন। কিন্তু সেখানকার দখলদার কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নেওয়ায় স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

জাতিসংঘের এক গবেষণা বলছে, এই ধরনের অনুমতি পাওয়া কার্যত অসম্ভব। ফলে সেখানে আবাসন সংকট দেখা দিয়েছে।

আবু দিয়াব বলছেন, ‘তাঁবুতে থাকা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় থাকবে না (যদি আমার বাড়িটি হারাতে হয়)।

খবরে বলা হয়েছে, গেল ডিসেম্বরে আল-বুস্তান এলাকায় এ রকম ২১টি নির্দেশ জারি করা হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, পূর্ব জেরুজালেমে ২০২০ সালে ১৭০টি বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়েছে। অন্যদিকে, পশ্চিম তীরের ‘সি’ এলাকায় ধ্বংস করা হয়েছে ৬৪৪টি বসতি।

জাতিসংঘের তথ্য আরো বলছে, ২০১৬ সাল থেকে জাতিসংঘ ফিলিস্তিনিদের বসতি ধ্বংসের হিসাব রাখছে। এর পর থেকে গত বছরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়েছে।

আই.এ/

মন্তব্য করুন