ইসরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে ইন্দোনেশিয়াকে বড় লোভ দেখাল যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়াকে দুই বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিনিধি পরিষদের আন্তঃসংসদীয় সহযোগিতা বিষয়ক কমিটির সভাপতি ফাদলি জোন। সোমবার জেরুজালেম অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সংসদ সদস্যদের এক বৈঠকে তিনি এ তথ্য জানান।
ইন্দোনেশিয়ার সিনিয়র এই আইনপ্রণেতা বলেন, চাপ থাকা সত্ত্বেও তার দেশ কখনোই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ করবে না। এমনকি শান্তিচুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্র দুই বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দিয়েছিল, যা ইতোমধ্যে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতিতে সহায়তা করার পরিবর্তে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের প্রস্তাব দেয় ট্রাম্প প্রশাসন, যোগ করেন তিনি।
‘ইসরায়েলের প্রতি ওয়াশিংটনের অন্ধ পক্ষপাতিত্ব এবং ফিলিস্তিনি অধিকারের প্রতি অবজ্ঞা, ফিলিস্তিন সংকটকে আরো খারাপের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।’
ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইনপ্রণেতারা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের বিপক্ষে জানিয়ে ফাদলি জোন বলেন, ফিলিস্তিনের অধিকার এবং তাদের আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের পদক্ষেপ কেবল ইসরায়েলকেই লাভবান করবে।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের ভূমি দখল করেছে ইসরায়েল। আর কোনো দখলকারীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা ইন্দোনেশিয়ার সংবিধানের পরিপন্থী। ইসরায়েল একটি দখলদারিত্বের দেশ। তাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা অসম্ভব।
‘সর্বশেষ সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ চুক্তিগুলো ইসরায়েলকে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সীমালঙ্ঘন অব্যাহত রাখতে এবং দখলকৃত অঞ্চলে সেটেলমেন্ট বিল্ডিং বৃদ্ধি করতে উৎসাহিত করছে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এসব ঠেকানোর আহ্বান জানাই।’
আই.এ/