আর্জেন্টিনার আইনসভায় ১৪ সপ্তাহ পর্যন্ত গর্ভপাতকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তটিকে বর্তমানে লাটিন আমেরিকার সবচেয়ে আলোচিত বিষয় বলে মনে করা হচ্ছে। বহু আর্জেন্টিনাইন অধিকারকর্মী এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিপরীতে বহু লোক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পোপ ফ্রান্সিসও এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন।
সিনেটররা দীর্ঘ তর্কের পর গর্ভপাতকে বৈধতা দেওয়ার পক্ষে দেন ৩৮ ভোট, বিপক্ষে ২৯ ভোট, এবং একজন নীরব থাকেন। এই সিদ্ধান্তের আগে কেবলমাত্র ধর্ষণের ক্ষেত্রে এবং মায়ের স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলে গর্ভপাত বৈধ ছিলো। চলতি মাসের শুরুর দিকে গর্ভপাতকে বৈধতা দিতে একটি বিল পাশ করা হয়েছিলো।
অধিকারকর্মীরা দুই বছর ধরে এ রকম একটি বিধানের জন্য লড়াই করছিলেন। দুই বছর আগে সিনেটররা গর্ভপাতের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছিলেন। আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ এই সিদ্ধান্তের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তার নির্বাচনী প্রচারণায় এই সিদ্ধান্তটি গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো।
১২ ঘণ্টা ধরে এই বিতর্ক চলে, এবং চারজন সিনেটর তাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। তাদেরকে প্রভাবিত করতে মন্ত্রীসভা ভবনের বাইরে বহু লোক উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু লাটিন আমেরিকার প্রভাবশালী ধর্মীয় সংস্থা ক্যাথলিক চার্চ এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা সিনেটরদের এই বিল বাতিল করার দাবি জানিয়েছে।
মন্ত্রীসভার বাইরে বহু লোক এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পোপ ফ্রান্সিসও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার মতামত ব্যক্ত করেছেন। এল সালভাদর, নিকারাগুয়ারা এবং ডোমিনিকান রিপাবলিকে গর্ভপাত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আই.এ/