বঙ্গবন্ধুর জন্য এখনও রোজা রাখেন মান্নান মিয়া, কোরবানি দেন শোক দিবসে

প্রকাশিত: ৬:৪৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২০

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবেসে এখনও তার জন্য রোজা রাখেন। আয়োজন করেন দোয়া মাহফিলের। জাতীয় শোক দিবসে দেন কোরবানি। আপ্যায়ন করেন দলীয় নেতাকর্মীদের।

তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের আব্দুল মান্নান মিয়া। জাতির পিতার প্রতি ভালোবাসা থেকেই নিজ বাড়ির একাংশে তৈরি করেছেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর। মৃত্যুর আগে তার শেষ ইচ্ছা বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার। আর স্মৃতি জাদুঘরটি সরকারের কাছে হস্তান্তর করা।

কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশেই আব্দুল মান্নানের বাড়ি। তার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, কয়েকটি টিন শেডের ঝড়াজীর্ণ ঘর। প্রতিটি ঘরের কাঁচা ভিটি। বাড়ির একাংশে একটি ছোটঘর। ঘরের সামনে লেখা বঙ্গবন্ধু জাদুঘর। সেখানে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি। বিভিন্ন ঘটনায় আহত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছবি।

আছে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্নজীবনী, কারাগারের রোজ নামচাসহ বিভিন্ন বই। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন প্রায়ই তার জাদুঘরটি দেখতে আসেন। প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর, ১৫ আগস্ট, ২৬ মার্চ আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন বঙ্গবন্ধু প্রেমী আব্দুল মান্নান।

তিনি জানান, ১৯৫২ সালে সদর উপজেলার নন্দনপুর গ্রামে তার জন্ম। সেখান থেকে চলে যান নানা বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার অষ্টগ্রামে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মান্নান ছিলেন যুবক। জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন মুক্তিযোদ্ধার সহযোগী হিসেবে। তবে মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট বা এর গুরুত্ব আছে কিনা–তা নিয়ে কখনও ভাবেননি তিনি।

মান্নান জানান, পৈত্রিকভাবে অনেকটা সম্পদশালী ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার রয়েছে অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। বঙ্গবন্ধুর নামে রোজা রাখতেন, কোরবানি দিতেন। বঙ্গবন্ধুর জন্যই তার দল আওয়ামী লীগকে ভালোবাসেন।

১৯৬৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মী হিসেবে দলের জন্য কাজ করছেন। দলের পেছনে দৌড়াতে গিয়ে অনেকে তাকে পাগল বলে আখ্যায়িত করতেন। ২০০০ সালে তার বসত ঘরটি দুবৃর্ত্তরা পুড়িয়ে দেয়। আওয়ামী লীগ করায় দুবৃর্ত্তরা তার ঘরে আগুন দেয়। ২০০১-২০০৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতা থাকাকালে প্রায়ই নির্যাতনের শিকার হতেন।

আই.এ/

মন্তব্য করুন