ইসরায়েলের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত!

প্রকাশিত: ৬:০৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০২০

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সিনিয়র এক উপদেষ্টা তেল আবিব সফর করেছেন বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম। গত মাসে গোপনে এই সফর হয়েছে বলা হলেও সফরকারীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।

ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার একটি সূত্রের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, পাকিস্তানি ওই উপদেষ্টা গত ২০ নভেম্বর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ইসলামাবাদ থেকে প্রথমে লন্ডন যান। সেখান থেকে একই এয়ারলাইন্সের বিএ১৬৫ ফ্লাইটে তেল আবিব পৌঁছান তিনি।

ওই উপদেষ্টা তেল আবিবে কয়েকদিন অবস্থান করেন এবং দেশটির কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন। তাতে ইসরায়েলের সঙ্গে পাকিস্তান সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ‘কৌশলগত সিদ্ধান্ত’ নিয়েছে বলে জানান তিনি।

পার্সটুডে জানায়, এমন খবর প্রকাশ করেছে ইসরায়েল হাইয়োম, জেরুজালেম পোস্ট ও চ্যানেল আই২৪। তবে জেরুজালেম পোস্টের অনলাইনে খবরটি প্রকাশ করা হলেও পরে তা সরিয়ে নেয়া হয়।

এদিকে, খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে লন্ডনের ইসলামিক থিওলজি অব কাউন্টার টেরোরিজম (আইটিসিটি)। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক নূর দাহরি বুধবার জানান, পাকিস্তানি ওই উপদেষ্টা ব্রিটিশ পার্সপোর্ট দিয়ে তেল আবিবে যান।

আই২৪-কে তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন সফরের বিষয়টি অনুমোদন করায় তেল আবিব বিমানবন্দরে পাকিস্তানি ওই দূতকে স্বাগত জানান ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।

এ সফরে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করে পাক সেনাপ্রধানের বার্তা পৌঁছে দেন ওই দূত। এ ছাড়া দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক হয় এবং পাক প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দেন তিনি।

জানা যায়, তুরস্ক ও ইরানের দিকে ঝুঁকে পড়ায় সৌদি জোটের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে পাকিস্তানের। এ কারণে তুর্কি ব্লক ছেড়ে মার্কিন-ইসরায়েল ব্লকে আনতে দেশটির ওপর প্রচণ্ড চাপ দিচ্ছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

বিষয়টি স্বীকার করে সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজেই বলেন, কোনো চাপের কাছেই তার দেশ মাথা নত করবে না। এরপর চীনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সৌদি ঋণ পরিশোধের উদ্যোগ নেন বলে জানা যায়।

তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ খবরের (তেল আবিব সফর) বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আর ইসরায়েলও সরকারিভাবে কিছু প্রকাশ করেনি এখনো।

আই.এ/

মন্তব্য করুন