মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত থমাস অ্যান্ড্রোজ বলেছেন, তিন বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রাখাইনে ফেরাতে না পারার পেছনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীতি ব্যর্থ হয়েছে এবং এ কথা তাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরাতে ব্যর্থ হওয়ার পেছনে মূলত দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমটি হলো- রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমি রাখাইন রাজ্যে নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরির অর্থবহ পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমার অনিচ্ছুক। দ্বিতীয়টি হলো- বাংলাদেশকে তাদের মানবিক মিশন চালিয়ে যেতে পর্যাপ্ত পরিমাণে উপকরণ দিতে পারেনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।
রোহিঙ্গাদের নিজ ঘরে ফেরার প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করতে না পারার এ ব্যর্থতা রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশ সরকার উভয়ের জন্য অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করেছে মন্তব্য করে জাতিসংঘের এ মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই প্রয়োজনীয় সহায়তা ও পদক্ষেপ নিতে হবে। একই সঙ্গে ব্যর্থতার জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রাখাইনে প্রত্যাবাসনের মৌলিক অধিকারকে সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টা করার দরকার ছিল।
‘এক্ষেত্রে তাদের নিরাপদ আশ্রয় দেয়ার বিরাট বোঝা বহনে বাংলাদেশকে বৃহত্তর আর্থিক সহায়তা প্রদান, রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদার সঙ্গে ফিরে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি তৈরি করতে মিয়ানমার সরকারের কাছে দাবি জানানো, এ জন্য কারিগরি সহায়তা দিয়ে এবং প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার সরকার অবশ্যই মানতে বাধ্য হয়- তেমন স্পষ্ট, বাধ্যতামূলক ও সময়ে আবদ্ধ শর্ত আরোপ করতে পারতো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।’
আই.এ/