মুসলিম দার্শনিক মাহমুদ খাশগারির ভাস্কর্য সরিয়ে ফেলল চীন

প্রকাশিত: ৫:৫০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০২০

চীনের উত্তর-পশ্চিমে জিনজিয়ান প্রদেশের স্বায়ত্তশাসিত উইঘুর অঞ্চলে প্রখ্যাত তুর্কি দার্শনিক মাহমুদ খাশগারির একটি ভাস্কর্য ছিল। সেটি সরিয়ে ফেলেছে চীন। গত বছরের ২৮ নভেম্বরের পর থেকে স্যাটেলাইট চিত্রে ভাস্কর্যটি আর দেখা যাচ্ছে না বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রেডিও ফ্রি এশিয়ার (আরএফএ) প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে।

সেখানে বলা হয়, মাহমুদ খাশগারি একজন প্রখ্যাত তুর্কি মুসলিম দার্শনিক। তিনি একাদশ শতাব্দীতে ‘গ্র্যান্ড তুর্কি অভিধান’ সংকলন করেছিলেন। উইঘুর মুসলমানদের কাছে তার অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। ৮০ দশকের শুরুর দিক থেকে বর্তমান সময় পর্যন্তও চীনের অনেক দার্শনিক ও গবেষক মাহমুদ খাশগারিকে নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে একাধিক প্রবন্ধ ও গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন।

মাহমুদ খাশগারির মৃত্যুর স্থানটিতে ১৯৮০ সালের শুরুর দিকে উইঘুর মুসলিমরা নিজেদের অর্থায়নে সংস্কার করে একটি মাজার তৈরি করেন এবং সেখানে তার সাত মিটার লম্বা একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়। এরপর থেকেই এটি চীনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হয়ে ওঠে এবং দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটক স্থানটিতে বেড়াতে আসেন।

গত বছর জিনজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় জার্নালে চীনা ভাষায় একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেন নৃতাত্ত্বিক হান অধ্যাপক গাও বো। সেখানে তিনি খাশগারি সম্পর্কে ঐতিহাসিক অনেক বিষয়কে সন্দেহমূলক দাবি করে বিতর্ক সৃষ্টি করেন। এর কয়েক মাস পর থেকেই খাশগারির ওই ভাস্কর্যটি আর দেখা যাচ্ছে না। রেডিও ফ্রি এশিয়া স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ওই স্থানটি জুম ইন করেছে।

পৃথিবীর ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ দার্শনিকদের মধ্যে অন্যতম মাহমুদ খাশগারি উইঘুর মুসলিম ও তুর্কিদের কাছে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। বিশ্বজুড়েই তাকে নিয়ে গবেষণা হয় এবং উইঘুর সম্প্রদায় খাশগারিকে তাদের জীবনের অংশ হিসেবে সম্মান করেন।

আই.এ/

মন্তব্য করুন