পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে ৫৭টি মুসলিম দেশের জোট ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুদিনের এক বৈঠকে শনিবার সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে যাতে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলকে বেশ শক্ত ভাষায় নিন্দা করা হয়েছে।
এমনকি গত বছর পাঁচই অগাস্টের ঐ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্যও ভারতকে আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সাথে ভারত-শাসিত কাশ্মীরে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে ওআইসির প্রস্তাবে।
কাশ্মীরে “ভুয়া এনকাউন্টারে“ করে আইন বহির্ভূত হত্যা, “তল্লাশি ও ঘেরাও“ অভিযান এবং শাস্তির কৌশল হিসাবে কাশ্মীরিদের বাড়ি-ঘর এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তি গুঁড়িয়ে দেওয়া, সাধারণ মানুষের ওপর ‘পেলেট‘ বুলেট ছোড়া এবং “ভারতীয় সৈন্যদের হাতের কাশ্মীরি নারীদের হেনস্থার“ নিন্দা করা হয়েছে।
রোববার ওআইসির প্রস্তাবের কড়া সমালোচনা করে দেশটি বছে, জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে এ ধরনের প্রস্তাব গ্রহণের কোনো অধিকার অন্য কোনো দেশের নেই। চলতি সপ্তাহে নাইজারে ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে একটি প্রস্তাবনা গৃহীত হয়। কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সরাসরি এটিই প্রথম প্রস্তাব।
গত ২৭ থেকে ২৯ নভেম্বর নাইজারে ৪৭তম ওআইসি সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। করোনা, আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি এবারের বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, নাইজারের সম্মেলনে কাশ্মীর প্রস্তাব গ্রহণের ক্ষেত্রে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ভারতের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্র শাসিত জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আমরা সব সময় বলেছি ভারতের যে কোনো অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে কথা বলার কোনো এখতিয়ার ওআইসির নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওআইসির প্রস্তাবে ভারতকে নিয়ে যেসব কথা বলা হয়েছে তা তথ্যগত-ভাবে ভুল এবং অনভিপ্রেত, ফলে এ সব বক্তব্য ভারত পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছে। বিবিসি
ওয়াইপি/পাবলিক ভয়েস