করোনায় ভেঙ্গে পড়তে পারে গাজা উপত্যাকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২০

করোনা মহামারির সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। খবর রয়টার্স।

গতকাল রবিবার (২২ নভেম্বর) করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধিতে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকার স্থানীয় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এমন আশংকা প্রকাশ করেছেন।

রয়টার্স জানায়, গাজা উপত্যাকায় বসবাসরত ২০ লাখ দারিদ্র জনগোষ্ঠী করোনা মহামারি সংক্রমনের ঝুঁকিতে আছে। গত আগস্ট থেকে গাজায় ইতিমধ্যে ১৪ হাজার লোকের করোনা সনাক্ত হয় এবং ৬৫ জন মারা যায়।

গাজার মহামারি নিয়ে কাজ করা দলের সদস্য আবদুল রউফ জানায়, করোনা রোগীদের জন্য ইতিমধ্যে এক শয়ের মধ্যে ৭৯টি ভ্যান্টিলেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আবদুল রউফ আরো জানান, ‘সংক্রমনের হার বাড়তে থাকলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ পুরোপুরি ভেঙে পড়তে পারে। আর এ ধারা অব্যাহত থাকলে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)-এর তীব্র সঙ্কট হতে পারে। তাছাড়া করোনা আক্রন্ত রোগীর মৃত্যুর হারও আরো বাড়ার সম্ভাবনা আছে।’

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গাজা অফিসের কর্মকর্তা আবদুল নাসের সবোহ বলেন, ‘আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের পক্ষে আর সম্ভব হবে না।’

এদিকে গত আগস্ট থেকে ফের করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় গাজা উপত্যাকায় লকডাউন দিয়েছে হামাস। ফলে অর্থনীতি ও জীবন-জীবিকা তীব্র সঙ্কটের মুখে পড়েছে। ওখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদ সবই বন্ধ আছে।

ইসরায়েলে হামাসের কাছে অস্ত্র পৌঁছতে না দেওয়ার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে দলটির সঙ্গে ইসরায়েলে তিনটি যুদ্ধ সংগঠিত হয়। ইসরায়েল ও গাজার মধ্যে প্রায় সময় হামলা ও পাল্টা হামলা চলে আসছে। করোনাকালেও যার অবসান হয়নি।

ইসরায়েলের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ইজহার শাই আর্মি রেডিও-কে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সাহায্য গাজা উপত্যাকায় পৌঁছতে পারবে। তবে করোনা মহামারির কারণে আমরা হামাসকে কোনো ছাড় দেব না। আমরা হামলার জবাব যথাযথভাবে অব্যাহত রাখব।’

ইসরায়েলের আরেকটি অফিস রয়টার্স জানায়, করোনা মহামারির পর গাজা উপত্যাকার জন্য ৬০টি ভ্যান্টিলেটর ও ৯টি করোনা পরীক্ষার পিসিআর যন্ত্র প্রদান করে ইসরায়েল।

মন্তব্য করুন