দুই দেশে ভাগ করে দেওয়া হোক সাইপ্রাসকে: এরদোগান

প্রকাশিত: ২:৩৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০২০

সাইপ্রাসকে দুই দেশে ভাগ করার প্রস্তাব দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। তার মতে, গ্রিকভাষী ও তুর্কিদের প্রাধান্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ ও উত্তর সাইপ্রাস আলাদা দেশ হোক। এক ভাগ হবে গ্রিকপ্রধান দেশ, অন্যটি তুর্কিপ্রধান দেশ।

রোববার বিতর্কিত সমুদ্রসৈকত ভারোশাতে প্রমোদ ভ্রমণে এরদোগান সাইপ্রাসকে দুই দেশে ভাগ করার ওই প্রস্তাব দেন। খবর ডয়েচে ভেলের।

তিনি চান, গ্রিকভাষীদের প্রাধান্য যেখানে সেই দক্ষিণ সাইপ্রাস ও তুর্কিদের প্রাধান্যের উত্তর সাইপ্রাস আলাদা দেশ হোক। ১৯৭৪ সাল থেকে উত্তর সাইপ্রাস দখল করে আছে তুরস্ক। সেখানে তুরস্কপন্থী সরকার আছে। কিন্তু একমাত্র তুরস্ক ছাড়া আর কোনো দেশ উত্তর তুরস্ককে স্বীকৃতি দেয়নি।

তুরস্কের উত্তর সাইপ্রাস অভিযানের ৩৭ তম বার্ষিকীতে এরদোগানের প্রস্তাব, “সাইপ্রাসে দুই ধরনের মানুষ বাস করেন। দুটি আলাদা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আছে। তাই সার্বভৌমত্ব ও সাম্যের ভিত্তিতে দুইটি আলাদা দেশের আলোচনা শুরু হোক।”

এরদোগানের উত্তর সাইপ্রাস সফর ও এই মন্তব্য নিয়েও বিতর্ক হচ্ছে। সাইপ্রাস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তুরস্কের কোনো শ্রদ্ধা নেই। ইউরোপীয় নীতি ও মূল্যবোধও তারা মানে না। ইইউ-র প্রতিও তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

সম্প্রতি সমুদ্রে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে তুরস্কের ঝামেলা হয়েছে। তুরস্ক পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ পাঠিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইইউ জানায়, বেআইনিভাবে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান করায় আগামী মাসে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে।

১৯৭৪ সালে গ্রিসের সামরিক শাসকেরা সাইপ্রাসে অভ্যুত্থান ঘটায়। তার প্রতিক্রিয়ায় উত্তর সাইপ্রাসে অভিযান চালায় তুরস্ক।

১৯৮৩ সালের ১৫ নভেম্বর টার্কিশ রিপাবলিক অব নর্দান সাইপ্রাস (টিআরএনসি) গঠিত হয়। তারপরই ভারোশার সমুদ্র সৈকত বন্ধ হয়ে যায়। সেখানকার বড় বড় বিলাসবহুল রিসোর্ট, হোটেল এখন ভেঙে পড়েছে। গত ৮ অক্টোবর তুরস্কের সেনারা ভারোশাকে আংশিকভাবে খুলে দেয়। এই সিদ্ধান্ত নিয়েও এরদোগানকে আন্তর্জাতিক মহলের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।

নাজমুল/পাবলিক ভয়েস

মন্তব্য করুন