ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় চাঞ্চল্যকর আবদুর রশিদ হত্যা মামলায় ১৪ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় চারজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রবিবার দুপুরে চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন।
মামলার রায়ে জানা যায়, চরফ্যাশন উপজেলা ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড উত্তর ফ্যাশন গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রশিদ মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে তার প্রতিবেশী আবুল বাশার, নুর হোসেন ও নোমান গংদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও মামলা চলে আসছিলো।
সেই বিরোধের জেরে ২০১৩ সালের ৩০ মে সন্ধ্যায় আবদুর রশিদ লালমোহন উপজেলার কর্তারহাট বাজার মসজিদে মাগরিব নামাজ পড়েন৷ নামাজ শেষে নিজ বাড়ি ফেরার পথে আসামিরা আবদুর রশিদের বাড়ি সংলগ্ন সুপারি বাগানের কাছে ধারালো দা-সেনি দিয়ে কুপিয়ে ঘাড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নির্মমভাবে হত্যা করে।
এ ঘটনায় ২০১৩ সালে চরফ্যাশন থানায় ১৮ জনকে আসামি করে নিহতের ভাই মো. হানিফ হত্যা মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ সময় মামলা চলমান থাকার পর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৪ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চারজনকে খালাস রায় প্রদান করে চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে সাত জন কারাগারে থাকলেও বাকি সাত জন পলাতক রয়েছে।
এ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি মো. আমিনুল ইসলাম সরমান ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন, অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক, অ্যাডভোকেট রমিজ উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান।
রাষ্ট্র পক্ষের পিপি এ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম সরমান রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আদালতে হত্যা মামলাটির তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আসামিগণ হত্যার সাথে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত এ রায় প্রদান করেছেন৷
এদিকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, এই হত্যাকাণ্ডের সাথে তাদের কোন সম্পৃক্ততা ছিল না৷ তাই তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন৷
এনএইচ/