নওগাঁ সংবাদদাতা: চলতি রোপা-আমন মওসুমের ধান কাটা শুরু হয়েছে। নওগাঁ জেলায় মাঠের পর মাঠ এখন পাকা ধানের সোনালী চাদরে মোড়ানো। পর পর দু’বারের বন্যায় ক্ষতি হওয়ার পরও কৃষি বিভাগ মনে করছে জেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪০ হাজার ১ শ ১৫ মেট্রিক টন অতিরিক্ত চাল উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ জানান, চলতি খরিপ-২/২০২০-২০২১ মওসুমে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উন্নত ফলনশীল উফশী জাতের ১ লক্ষ ৬৮ হাজার ১শ ৭০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ২৯ হাজার ৮০ হেক্টর এবং হাইব্রীড জাতের ২শ ৫০ হেক্টর।
উপজেলাভিত্তিক ধার্যকৃত লক্ষমাত্রা ছিল নওগাঁ সদর উপজেলায় ৯ হাজার ৭শ ৫০ হেক্টর, রানীনগর উপজেলায় ১৮ হাজার ৮৫ হেক্টর, আত্রাই উপজেলায় ৫ হাজার ১শ ৩০ হেক্টর, বদলগাছি উপজেলায় ১৩ হাজার ৭শ ৭০ হেক্টর, মহাদেবপুর উপজেলায় ২৮ হাজার ৩শ ৩৫ হেক্টর, পত্নীতলা উপজেলায় ২৮ হাজার ৪শ ৫০ হেক্টর, ধামইরহাট উপজেলায় ১৯ হাজার ৭শ ৯০ হেক্টর, সাপাহার উপজেলায় ১২ হাজার ৭৫ হেক্টর, পোরশা উপজেলায় ১৬ হাজার ৬শ ৯৫ হেক্টর, মান্দা উপজেলায় ১৫ হাজার ৭শ ৫৫ হেক্টর এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় ২৯ হাজার ৬শ ৬৫ হেক্টর জমিতে।
কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়। কৃষি বিভাগ এই পরিমান জমিতে হেক্টর প্রতি গড়ে ৩ দশমিক ১০ মেট্রিকটন হিসেবে ৬ লক্ষ ১২ হার্জা ৭শ ১৫ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে।
কিন্তু জেলায় পর পর ২ বারের বন্যায় ৫ হাজার ৮শ হেক্টর জমির ধান সম্পন্নভাবে বিনষ্ট হয়ে যায়। বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার পর জেলায় ১ লক্ষ ৯১ হাজার ৮শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান উৎপাদন নিশ্চিত হয়। ইতিমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ কর্তন করার পর পরিমাপ করে গড়ে হেক্টর প্রতি চালের আকারে উৎপাদিত হয়েছে ৩ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন। এতে জেলায় মোট ৬ লক্ষ ৫২ হাজার ২শ’ ৯০ মেট্রিকটন চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা নিশ্চিত হয়েছে যা ধার্যকৃত লক্ষমাত্রার চেয়ে ৪০ হাজার ১শ’ ১৫ মেট্রিক টন বেশী।
নাজমুল/