চীনের জিনজিয়ান প্রদেশে নির্যাতনের উইঘুর সম্প্রদায়ের লোকজনের প্রতি এবার সমর্থন জানিয়েছে কানাডার পার্লামেন্টারি সাব কমিটি। তারা দেশটির সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের নির্যাতন-নিপীড়ন এবং নৃশংসতাকে গণহত্যা বলে আখ্যায়িত করেছে।
দ্য গ্লোব এন্ড দ্য মেইলের প্রতিবেদনে জানানো হয়, উইঘুর মুসলমানদের নির্যাতনের কারণে গত বুধবার (২১ অক্টোবর) বেইজিংয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠিন নিষেধাজ্ঞারও আহ্বান জানায় কমিটি।
এ ব্যাপারে হাউস অব কমন্সের আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সাব কমিটি জানায়, চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় স্বায়ত্তশাসিত জিনজিয়ান প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুরদের বন্দিশিবিরে আটকে রাখা হয়েছে। তারা নানা ধরনের নৃশংসতার শিকার হচ্ছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই মুসলমান।
সাব কমিটি দ্ব্যর্থহীনভাবে জিনজিয়ানে উইঘুর এবং তুর্কি মুসলমানদের ওপর চীনের নির্যাতনের নিন্দা জানিয়েছে। এতে ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টিসহ কানাডার তিনটি রাজনৈতিক দলই একাত্মতা প্রকাশ করে
২০১৮ এবং ২০২০ সালে উইঘুর নির্যাতন নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দুটি প্রতিবেদনই সাব কমিটির সামনে উপস্থাপন করা হয়। বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে কমিটিটি জানায়, উইঘুরদের বিরুদ্ধে চীনের নির্যাতন জাতিসংঘের জেনো সাইড কনভেনশন অনুযায়ী গণহত্যার সামিল।
চীনা সরকারের গণহত্যার নিন্দা জানানোর জন্য কানাডার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সাব কমিটি। তারা জানিয়েছে, চীনা কমিউনিস্ট সরকারের প্রতি কানাডার পার্লামেন্টারি সাব কমিটি নিন্দা জ্ঞাপন করছেন।
এছাড়া চীনা সরকার যাতে জিনজিয়ানের উইঘুর বন্দিশালায় পর্যবেক্ষকদের প্রবেশ করতে দেয় তা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন টুড্রোকে পরামর্শ দিয়েছে সাব কমিটি।
আই.এ/