আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের যুদ্ধ ৫ হাজার মানুষের মৃত্যু

প্রকাশিত: ৩:৫১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২০

বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলে চলমান অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের মাধ্যমে আজেরি বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করায় আর্মেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর আক্রমণ শুরু করেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র আজারবাইজান।

এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ প্রসঙ্গে দীর্ঘ বিবৃতি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানালেন, ভয়াবহ এ যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। খবর ডয়চে ভেলে’র।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে, আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া দুটি দেশের সঙ্গেই প্রতিদিন যোগাযোগ রাখছেন তিনি। দিনে একাধিকবার ফোনে কথা হচ্ছে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) একটি টেলিভিশন বিবৃতিতে বিষয়টি স্বীকার করেন পুতিন।

তার বক্তব্য, রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধে কোনো পক্ষকেই সমর্থন করছেন না তিনি। যুদ্ধ যাতে দ্রুত থামে তার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ সময় তিনি আমেরিকাকেও রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, শুক্রবারই (২৩ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেওর সঙ্গে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

নাগোরনো-কারাবাখের স্বাধীন প্রশাসন যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির একটি হিসেব দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৮৭৪ জন সেনা এবং ৩৭ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে শুধু নাগোরনো-কারাবাখে।

বিশ্লেষকদের মতে, নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে গত ২৭ সেপ্টেম্বর নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর তুরস্ক এ সংঘাতে প্রকাশ্যে আজারবাইজানের পক্ষ নেয়। তবে সম্প্রতি আঙ্কারা দু’দেশের মধ্যে মধ্যস্থতার কাজে রাশিয়াকে সঙ্গ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে। কিন্তু আর্মেনিয়া তুরস্কের এ প্রস্তাবের সরাসরি বিরোধিতা করেছে।

আই.এ/

মন্তব্য করুন