আ. লীগ নেতার হামলা-নির্যাতনের শিকার যুবলীগ নেতাসহ অনেকে

প্রকাশিত: ৮:১৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২০

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীতে আওয়ামীলীগ নেতা কর্তৃক হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাসহ একাধিক নেতা কর্মি। এ ঘটনার বিচার চেয়ে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর ও সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী কামাল হাওলাদারসহ একধিক নেতা কর্মি।

পটুয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এর কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ভুক্তভোগী কামলা হাওলাদার বংশগত আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারের একজন সক্রিয় সদস্য হওয়ার পরিক্রমায় বর্তমানে রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিএনপি সরকারের সময় আন্দোলন সংগ্রামের কারনে একাধিকবার হামলা মামলার শিকার হয়েছেন রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক কামাল হাওলাদার।

ঘটনারদিন ১৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাঙ্গাবালীর বাহেরচর বাজারে একটি দোকানে বসা অবস্থায় যুবলীগ নেতা কামালকে রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খায়রুজ্জামান মামুন খা এর নেতৃত্বে তার খায়রুজ্জামান (মামুন খা)‘র ভাই মাসুম খাসহ কতিপয় সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে অমানবিক নির্যাতন করে। এ ঘটনারপর ভিকটিম যুবলীগ নেতা কামাল হাওলাদার পটুয়াখালীতে চিকিৎসা এবং ঘটনাটি জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দকে অবহিত করার জন্য পটুয়াখালীতে আসার পথে রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক খায়রুজ্জামান মামুন খা এর পালিত সন্ত্রাসীরা ফের যুবলীগ নেতা কামালকে আটক করে মারধর করে রাঙ্গাবালীতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার বিচার চেয়ে কামাল গোপনে অন্য একজন কর্মী দিয়ে পৃথক দুইটি লিখিত অভিযোগ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এর কাছে প্রেরন করেন। ১৭ অক্টোবর কামালসহ যুবলীক একাধিক নেতাকর্মিরা জেলাযুবলীগের আহবায়ক এর কাছে অভিযোগকরে সাংবাদিকদের কাছে উক্ত ঘটনা তুলেধরে মিডিয়ার মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রীর কাছে পৌছানো আহবান জানান। এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মামুন খা জানান, আমি সারাদিন ইউনিয়ন পরিষদে আছি। শুনেছি কামাল ডিলার ১০ টাকা দরের কার্ডধারী এক মহিলার কার্ড রেখে তাকে চাল না দেয়ায় ঝগড়া ঝাটি হয়েছে এর বেশী কিছু জানি না।

কামাল এর স্বজনরা সহ স্থানীয়রা জানায়, রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান মামুন খা, রাঙ্গাবালী থানা বিএনপি কমিটির ১৭ নম্বর সদস্য মোঃ শাহআলম খানের ছেলে। মামুনের আপন ফুফাত ভাই জাকির মল্লিক রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন বিএনপির অর্থ সম্পাদক, একই কমিটির আপন ফুফাু ১নং সদস্য, আপন চাচা ফজলুর রহমান খান ২ নং সদস্য ,মামুন খানের আপন চাচাতো ভাই রাশেদ খান রাঙ্গাবালী থানা ছাত্র দলের যুগ্ম আহবায়ক অপর চাচাতো ভাই আতিকুর রহমান খান রুবেল একই কমিটির যুগ্ম আববায়ক। মামুন খান স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য বলে কামাল হাওলাদার নিশ্চিত করেছেন।

এর আগেও দলীয় নেতাকর্মীদের বিনা কারনে মারধর করে আহত করার অভিযোগ রয়েছে রাঙ্গাবালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও রাঙ্গাবালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মামুন খানের বিরুদ্ধে। যা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় রাঙ্গাবালী জনপদে আতংকের নাম মামুন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বলেও কামাল জানান। যুবলীগ নেতা কামাল জেলা আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের কাছে এ নির্যাতনের বিচার দাবী করেছেন । সাইদুজ্জামান মামুন খান কর্তৃক যে সকল নেতা কর্মীরা আহত বা আক্রন্ত হয়েছে তারা হলেন রাঙ্গাবালী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ মিরাজ হাওলাদার, রাঙ্গাবালী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহনির রেশাদ, রাঙ্গাবালী ইউপি আওয়লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান তসলিম,ইউপি আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, ইউপি যুবলীগ সাধারন সম্পাদক কামাল হাং, ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি কামাল মোল্লা, ইউুপ যুবলীগ সহসভাপতি কামাল মীর,সাবেক ইপজেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক আসাদুজ্জামান, রাঙ্গাবালী উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শিমুল, রাঙ্গাবালী উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মিলন খলিফা, ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত মৃধা,ইউপি আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল হোসেন মাষ্টার, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি আলমগীর পন্ডিত ও রাঙ্গাবালী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হুমায়ুন তালুকদারসহ আরও অনেকে।

আই.এ/

মন্তব্য করুন