এমনিতেই দারিদ্র্যের সঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর আজন্ম লড়াই। উপরন্তু করোনাভাইরাস সেই লড়াইকে কঠিনতম করে তুলেছে।
স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে বিভিন্ন সংস্থা কিংবা দেশের ত্রাণ তৎপরতা। বাধ্য হয়ে ক্ষুধার সঙ্গে লড়াইরত এই উপত্যকার নাগরিকরা ময়লার স্তূপের মধ্যে খাবারের খোঁজ করছে।
এমন কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এবং ফিলিস্তিনি শরনার্থীবিষয়ক প্রধান ফিলিপ লাজ্জারিনি। তিনি বলেন, গাজাবাসীর অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়।
অধিকাংশ মানুষ পরিবারের মুখে একবেলা খাবার দেওয়ার জন্য সংগ্রাম করছে। এই সংগ্রামে কেউ কেউ সফল হয় আবার অনেকেই ব্যর্থ। ময়লার ভাগাড়ের মধ্যে হন্যে হয়ে খাবার খুঁজছে তারা।
শুধু গাজায় বসবাসকারীরা নয়; লেবানন, সিরিয়া, জর্ডানসহ অন্যান্য স্থানে শরনার্থী হিসেবে বাস করা গাজাবাসীরাও রীতিমতো উপোস করছেন। এমন অবস্থার নিরসনে উন্নত দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান লাজ্জারিনি।
গাজাবাসীর অবস্থা বর্ণনা করার পাশাপাশি নিজেদের দুরাবস্থার কথাও বলেন ফিলিস্তিনি শরনার্থীবিষয়ক এই প্রধান। ফিলিপ লাজ্জারিনি বলেন, করোনার কারণে আর্থিক মন্দার মুখে পড়েছেন তারা নিজেরাও।
সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে তারা সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। এর বাইরে আছে ইসরায়েলের নিরন্তর অসহযোগিতা। এসব পরিস্থিতির কারণে চরম নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে।
আই.এ/