বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে দুই প্রতিবেশী আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যকার চলমান সংঘাতে তুরস্ক নিজেদের প্রযুক্তি ব্যবহার করছে- এমন উদ্বেগের ফলে এবার আঙ্কারায় অস্ত্র রপ্তানির অনুমতি স্থগিত করেছে কানাডা।
দেশটির শক্তিশালী রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবং চলমান বৈরিতার কারণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্কোইস-ফিলিপ চ্যাম্পাগেন ঘোষণা করেন যে, তুরস্কে রপ্তানির অনুমতি স্থগিত করা হয়েছে। চলমান পরিস্থিতি আরো মূল্যায়ন করতেই এ সিদ্ধান্ত।
মার্কিন গণমাধ্যম সিবিসি জানায়, আর্মেনিয়ান বাহিনীর বিরুদ্ধে আঙ্কারা কয়েক ডজন ড্রোন মোতায়েন করেছে, এমন খবর প্রকাশের পর তুরস্কের কাছে অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তির রপ্তানি বন্ধ করতে আর্মেনিয়ান-কানাডিয়ানরা আহ্বান জানান। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আর্মেনিয়ান ন্যাশনাল কমিটি অফ কানাডার (এএনসিসি) নির্বাহী পরিচালক শেবাগ বেলিয়ান ফেডারেল সরকারকে তুরস্কের প্রতি কানাডার সমস্ত সামরিক সহায়তা অবিলম্বে বন্ধ করার অনুরোধ করেছেন এবং আজারবাইজানের পদক্ষেপের নিন্দার আহ্বান জানিয়েছেন।
মিডল ইস্ট মনিটরের খবরে বলা হয়, গত মাসের শেষ দিকে আজারবাইজান আর্মেনিয়ান বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটগুলোকে লক্ষ্য করে সশস্ত্র ড্রোন প্রদর্শন করেছিল। তবে অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এগুলো আসলে কানাডিয়ান সেন্সর এবং লেজার টার্গেটিং-সিস্টেম দ্বারা সজ্জিত তুর্কি উৎপাদিত ড্রোন।
গত সপ্তাহে কানাডাভিত্তিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ গোষ্ঠী প্রজেক্ট লাভাশারেসের জারিকৃত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজারবাইজান দ্বারা ব্যবহৃত ড্রোনগুলো মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা এল৩হারিসের কানাডার সহায়ক সংস্থা এল৩হারিস ওয়েসকেমের দ্বারা নির্মিত ইমেজিং এবং লক্ষ্যবস্তু ব্যবস্থায় সজ্জিত ছিল।
মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনসহ তুরস্কে কানাডার ওয়েসকেম সেন্সর রপ্তানি মানবদুর্ভোগের সুবিধার্থে যথেষ্ট পরিমাণে ঝুঁকি তৈরি করেছে বলেও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
আই.এ/