এখন পর্যন্ত ২২ বসতি দখলমুক্ত করেছে আজারবাইজান

প্রকাশিত: ৭:২৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০২০

আজারবাইজানের সশস্ত্র বাহিনী উচ্চ কারাবাখ অঞ্চলে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষের মধ্যে এখন পর্যন্ত আর্মেনিয়ান দখল থেকে ২২টি বসতি মুক্ত করেছে। সোমবার (৫ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তথ্যটি জানিয়েছে তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে তারা জানায়, আর্মেনিয়ান বাহিনী দ্বারা দখলকৃত অঞ্চলগুলো পুনরায় নিজেদের দখলে নিচ্ছে আজারবাইজানিয়ান সশস্ত্র বাহিনী। অভিযানে এখন পর্যন্ত মোট ২২টি বসতি দখল থেকে মুক্ত করেছে তারা।

বার্তা সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৭ সেপ্টেম্বর সীমান্তে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর আর্মেনিয়ান বাহিনী অধিকৃত কারাবাখের আজারবাইজানীয় বেসামরিক বসতি এবং সামরিক অবস্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালায়, যা এখনো অব্যাহত আছে। এতে অসংখ্য হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে।

এদিকে, আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আর্মেনিয়ান সশস্ত্র বাহিনী তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গঞ্জায় গোলাগুলি করেছে। যার ফলে অঞ্চলটিতে সংঘাত আরো বেড়ে গেছে। তারা ফুজুলি অঞ্চলে রকেট এবং দখলকৃত অঞ্চলগুলো থেকে অগাদম এবং টের্টার অঞ্চলে ভারী কামান নিক্ষেপ করছে। এতে বেসামরিক অবকাঠামো এবং ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জাকির হাসানভ বলেন, আর্মেনিয়া থেকে আজারবাইজানের অঞ্চলগুলিতে হামলা চালানো উস্কানিমূলক। এতে শত্রুতা আরো বাড়ে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সতর্কতা সত্ত্বেও তা এখনো অব্যাহত আছে। আমরা আবারও সতর্ক করে দিয়ে বলছি যে, বলিজে শত্রু অবস্থানের বিরুদ্ধে আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সহকারী হিকমেত হাজাইয়েভ এক টুইট বার্তায় বলেন, আর্মেনিয়ার অঞ্চল থেকে আজারবাইজানের গঞ্জা, ফুজুলি, তাতার এবং জাব্রাইল শহরে নির্বিচারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হচ্ছে। ৪টি নতুন ক্ষেপণাস্ত্র সবেমাত্র গঞ্জায় আঘাত করেছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কের মধ্যে আছে।

রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে আর্মেনিয়া আজারবাইজানের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আজারবাইজানের ঘনবসতিপূর্ণ জনবসতিতে অন্তত ১০ হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তারা। এতে প্রায় পাঁচ শতাধিক বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আই.এ/

মন্তব্য করুন