নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে সংঘর্ষ চলছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার। কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি নয়। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উত্তেজনাকর এই সময়ে নিজেদের রিজার্ভ সৈন্য শেষ হওয়ায় যুদ্ধে নারীদের পাঠাচ্ছে আর্মেনিয়া।
জানা গেছে, সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) কয়েক ডজন আর্মেনীয় নারী সেনাবাহিনীর একটি রিক্রুটমেন্ট সেন্টারে হাজির হন। রাজধানী ইয়েরেভানে ওই রিক্রুট সেন্টারে কয়েকজন নারীর সাক্ষাৎকার নেয় স্থানীয় গণমাধ্যম। ওই নারীরা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে সেন্টারটিতে হাজির হয়েছিলেন।
একজন নারী বলেন, যখন যুদ্ধ শুরু হয় তখন আমরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি, যাতে ফ্রন্টলাইনে যেতে পারি। আমি এটা ভেবে আনন্দিত যে এমন একটা সুযোগ আমি পেয়েছি। আমি নিশ্চিত যে আর্মিতে নারী প্রয়োজন। কেননা আমরা বিভিন্ন কৌশলে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে পারি।
পুলিশের একজন লে. কর্নেল হারুতউন হাকোবইয়ান বলেছেন, ইতোমধ্যেই ৯৮ জন নারীকে ফ্রন্টলাইনে পাঠানো হয়েছে। ফ্রন্টলাইনে যেতে আরও অনেক নারী আবেদন করছে। আরও প্রায় ৪০০ নারীকে মোতায়েন করা হবে। এখন আমরা পরের ব্যাচ পাঠানোর জন্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছি।
এর আগে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্ণেল ভাগিফ দারগালি বলেছিলেন, আর্মেনিয়ার অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তাদের রিজার্ভ সৈন্য শেষ। এরপর তারা সম্ভবত মহিলাদের যুদ্ধে পাঠাবে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর নাগোরনো-কারাবাখে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ওই অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতর অবস্থিত। কিন্তু সেখানকার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে উপজাতি আর্মেনীয় বাহিনী, যাদের আবার সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে আর্মেনিয়ার সরকার।
আই.এ/