নাগরানো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে টানা এক সপ্তাহ ধরে রক্ষক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে আজারবাইজন ও আর্মেনিয়া। আজারিদের চতুর্মুখী আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে আর্মেনীয় বাহিনী। তুর্কি গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্মেনীয়দের দখল থাকা নাগরানো-কারাবাখের মাদাগিজ শহর ছাড়াও আরো সাতটি নতুন এলাকা মুক্ত করেছে আজারবাইজান সেনারা।
গতকাল শনিবার এ কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। এক টুইটার বার্তায় তিনি জানান, আমাদের সেনারা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে কারাবাখের তিনটি জেলার বেশ কিছু গ্রাম শত্রুমুক্ত করেছে। গ্রামগুলো হলো- টের্টার জেলার তালিশ, জাব্রাইল জেলার মেহদিলি, চক্সিরলি, আশাগি ম্যারালিয়ান, শেবি, গাইজাগ এবং ফিজুলি জেলার আশাগি আবদুর রহমানিয়ালি।
এর আগে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, কারাবাখের মুক্ত করা মাদাগিজ শহরে আজারবাইজানের পতাকা উত্তোলন করেছে আমাদের সেনারা। মাদাগিজ এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গতকাল ফ্রান্স টুয়েন্টিফোর জানায়, আজারবাইজানের সমন্বিত ভয়াবহ আক্রমণের মুখে টিকতে না পারায় বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধাদের কিছু এলাকা থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে।
আজারি বাহিনী চূড়ান্ত যুদ্ধ শুরু করেছে উল্লেখ করে শক্তিশালী বিদেশি সামরিক শক্তির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কারাবাখের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা আরাইক হারুথাইউনইয়ান। গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধ আজ সপ্তম দিনে গড়িয়েছে। জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও তাতে কাজ হচ্ছে না।
এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষের ২ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো কয়েক শ মানুষ। হতাহতদের অধিকাংশই আর্মেনীয় সেনা, বেসামরিক নাগরিক রয়েছে ৩০ জনের মতো। বিপুল সংখ্যক সেনা, সমরাস্ত্র ও ভূখণ্ড হারিয়ে যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হয়েছে আর্মেনিয়া। এর জবাবে আজারবাইজান জানিয়েছে, আর্মেনীয়রা নাগরানো-কারাবাখ অঞ্চল না ছাড়া পর্যন্ত তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।
আই.এ/

